৯০'র গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সে-সময়ে দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শরিক হন। নূর হোসেনদের তাজা রক্তের বিনিময়ে এরশাদ ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হন৷
৯১'র সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতের সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসেন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি। বেগম জিয়া এরশাদের বিচার শুরু করলেও ৯৬-এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এরশাদের বিচারকার্য বন্ধ করে দেন, সাথে সাথে বিচারের মোয়া ঝুলিয়ে আওয়ামী দাশে পরিনত করেন এরশাদের জাতীয় পার্টিকে।
সেই থেকে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সমস্ত অন্যায় ও জুলুমের অংশীদার এই জাতীয় পার্টি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করে, শুরু হয় নতুন স্বৈরতান্ত্রিক যুগ। দিনে দিনে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা হয়ে উঠেন পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম ল্যাডি কিলার ও স্বৈরশাসক। আর তার একান্ত সহযোগী হিসেবে বেছে নেন হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদকে।
কখনো জোট সঙ্গী আবার কখনো সাজানো বিরোধী পুতুল, এভাবেই জাতীয় পার্টি গত ১৬ বছরে দেশের মানুষের উপর অন্যতম জুলুমবাজ হিসেবে আবির্ভূত হয়।
২০১৪, ২০১৮,২০২৪ এই তিনটি সাজানো নির্বাচন দেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিল ঠিক তখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পেসক্রিপশনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টি।
দেশের জনগণের বিপক্ষে যেয়ে ভারতের কথামতো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি।
সর্বশেষ গত জুলাই বিল্পবের দিনগুলোতে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টি অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে দেশের সকল জনগণ ও রাজনৈতিক দল একদিকে চলে গেছেন সেখানে হাজার হাজার ছাত্র -জনতার হত্যায়ও চুপ থাকেন জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টি।
আজ ২৪'র বিপ্লব পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে বা হবে ঠিক একই আইনে স্বৈরাচারের সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টি ও তার নেতাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
নতুবা ছাত্র- জনতার অর্জিত বিপ্লবের প্রকৃত অর্জনকে ভস্মীভূত করতে আবারও এদের ঐক্যবদ্ধ ষড়যন্ত্র দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলবে।
মূলত ৯০'র পতিত স্বৈরাচার ও ২৪'র পতিত স্বৈরাচার একে অন্যের সহযোগী।
-তানভীর আহমাদ