পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক প্রায় দেড় বছর ধরে ওই পড়ুয়াকে বিভিন্ন ভাবে উত্তক্ত করতেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কয়েক মাস আগে এলাকায় একটি সালিশি বৈঠকও হয়েছিল। তখন অভিযুক্ত যুবক তাঁর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন।
টিউশন নিতে যাওয়ার সময় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত বেঁধে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল তারই প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ‘নির্যাতিতা’র পরিবাবের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার নির্যাতিতা আত্মহত্যা চেষ্টা করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শনিবার রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক প্রায় দেড় বছর ধরে ওই পড়ুয়াকে বিভিন্ন ভাবে উত্তক্ত করতেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কয়েক মাস আগে এলাকায় একটি সালিশি বৈঠকও হয়েছিল। তখন অভিযুক্ত যুবক তাঁর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যায় টিউশন নিতে যাওয়ার সময় ওই যুবক নাবালিকাকে মাঝ পথ থেকে তার হাত বেঁধে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যান একটি জঙ্গলে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে এবং মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দেন অভিযুক্ত যুবক।
গতকাল শনিবার বিকেলে নির্যাতিতা তার বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে বলে ‘নির্যাতিতা’র পরিবারের দাবি। তাকে পরিবারের সদস্যেরা দেখে উদ্ধার করে এবং ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শনিবার রাতে গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও তাঁর দলের কর্মীরা মেয়েটির পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গাইঘাটা থানায় যান। সেখানে মেয়েটির পরিবার যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পবিবারের তরফ থেকে অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।