২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখের ডেপসং এবং ডেমচকে টহলদারি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সাড়ে চার বছর পর আবার এই দুই এলাকায় টহলদারি শুরু করল দু’দেশের সেনা।
সৌজন্য বিনিময়ের জন্য দিপাবলীর দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হিসাবে বৃহস্পতিবারই তাই ভারত-চিন সীমান্তের পাঁচ জায়গায়দু’দেশের সেনার মধ্যে মিষ্টি বিনিময় হয়। এ বার পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ডেপসং এবং ডেমচকে টহলদারি শুরু করল দু’দেশের সেনা। ভারত এবং চিন উভয়েই এই টহলদারি প্রসঙ্গে পরস্পরকে বার্তা দেয়। তার পরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আবার আগের মতোই টহলদারি শুরু করে দু’দেশের সেনা।
২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখের ডেপসং এবং ডেমচকে টহলদারি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সাড়ে চার বছর পর আবার এই দুই এলাকায় টহলদারি শুরু করল দু’দেশের সেনা। চার বছর ধরে চলা উত্তেজনার আবহ প্রশমিত করতে গত সপ্তাহেই এই দুই এলাকায় সেনা টহলদারির বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছয় নয়াদিল্লি এবং বেজিং।
বুধবারই লাদাখের ডেমচক এবং ডেপসাং উপত্যকার বিতর্কিত অঞ্চলে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো (ডিসএনগেজমেন্ট) শেষ করেছে ভারত-চিন। তার পরই বৃহস্পতিবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পাঁচ জায়গায় দু’দেশের সেনার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ হয়। এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘শুধু ডিসএনগেজমেন্ট নয়, সরকার আরও অনেক বেশি প্রত্যাশা করে। তবে তার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।’’
গত ২১ অক্টোবর পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় টহলদারির বিষয়ে দু’দেশ একমত হয়েছে বলে দাবি করেছে সাউথ ব্লক। গত ২৫ অক্টোবর থেকে লাদাখে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করে দু’দেশ। বুধবার তা শেষ হয়েছে। তার পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় থাকা দু’দেশের সেনাকর্তাদের পাঁচটি বৈঠকস্থল যেমন লাদাখের চুসুল-মল্ডো এবং দৌলত বেগ ওল্ডি, সিকিমের নাথু লা, অরুণাচলের বুম লা এবং ওয়াচা, কিবিথুতে মিষ্টি বিনিময় হয় দু’দেশের সেনার মধ্যে।