নওগাঁর নিয়ামতপুরে রাতের আঁধারে বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে মারধরে আহত হয়ে আলতাফ হোসেন (৬০) মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পশ্চিম মীরাপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, পশ্চিম মীরাপাড়া গ্রামের ৩৯ দাগে ৩৩ শতক জায়গা খাস পত্তন করেন তফির উদ্দিন। পরে টাকার বিনিময়ে তা হস্তান্তর করেন পাশ্ববর্তী নাচোল উপজেলার জশমুদ্দিনের কাছে। দীর্ঘদিন যাবত জশমুদ্দিন ভোগদখল করে আসছিলেন। ওই জায়গাতে টিন ও বেড়া দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন। গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে একই এলাকার হাবিবুর রহমান, সোহেল, কাসিম, সাজেদুল ইসলাম, হারুন মিলে ওই জায়গায় কবরস্থান করবেন বলে বাড়িতে আক্রমণ করে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করে বাড়িটি নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পশ্চিম মীরাপাড়া এলাকার পুকুরের পাশ ঘেঁষেই গড়ে উঠেছিল বাড়িটা। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বাড়িটি।
ভুক্তভোগী সেলিমা বেগম বলেন, গ্রামের লোকজন এসে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাকে গাছের সাথে বেধেঁ রেখে মারধর করে। আমার মেয়ের গলা থেকে দেড় ভরি ওজনের গলার চেইন খুলে নেয়। জীবন বাঁচাতে আমার চিল্লাচিল্লিতে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাদের জীবন রক্ষা করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
আরেক ভুক্তভোগী আনছারুল বলেন, জোর পূর্বক পুকুর পাড়ের বাসিন্দারা জায়গাটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে শুধুমাত্র জায়গাটি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য। আমারা জীবন নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
তবে হাবিবুর রহমান বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তারা গ্রামবাসীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। কবরস্থান করতে না দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।